বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১২:০৭ পূর্বাহ্ন

মুকসুদপুরে পাওনা টাকার দায়ে নারী খুন। গ্রেফতার ৮

মুকসুদপুরে পাওনা টাকার দায়ে নারী খুন। গ্রেফতার ৮

বাংলার নয়ন সংবাদঃ
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে পাওনা টাকার দায়ে নারী জিমি আক্তার (৩০) খুন, স্বামী নুর আলম মুন্সী (৩৫) ফরিদপুর মেডিকেলে, গ্রেফতার ৮ জন। রবিবার গভীর রাতে উপজেলার মোচনাই ইউনিয়নের পাইকদিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। মুকসুদপুর থানার ওসি মো: আবু বকর মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। খুনের ঘটনায় নুর আলমের ভাই হাবিবুর রহমান মুন্সী বাদী হয়ে ২৫ জনকে আসামী করে মুকসুদপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মুকসুদপুর থানায় দায়েরকৃত মামলায় জানাযায়, নুর আলম পেশায় একজন কৃষক। আর্থিক সংকটের কারণে ইরি ধানের মৌসুমে চাষাবাদের জন্য একই গ্রামের হালিম মোল্যার ছেলে অসিম মোল্যার নিকট হতে নগদ দুই লাখ টাকা ঋণ নেয়। শর্ত থাকে যে, উক্ত টাকা মৌসুম শেষে ছয় মাস পরে তাকে ফেরৎ দিবে এবং অতিরিক্ত ৫০ মণ ধান দিবে । এই টাকা নেয়ার সময় স্ত্রী জিমি আক্তারের নামের ব্যাংক এর চারটি চেক অসীম মোল্যা কে প্রদান করে। এ বছর আকস্মিক বর্ষার পানি চলে আসায় ধান সম্পূর্ণ ভাবে বিনষ্ট হয়। এতে করে ঋণ নেয়া টাকা যথাসময়ে ফেরৎ দিতে পারেনি। এ নিয়ে একাধিকবার তাকে মারপিট ও খুন জখম করার হুমকি প্রদান করে। স্থানীয় ভাবে একটি মৌখিক আপোষ নিষ্পত্তির মাধ্যমে আগামী ৩০শে কার্তিক ঋণ কৃত টাকা ফেরৎ দেয়ার সিন্ধান্ত হলে তারা মেনে নেয়। রবিবার ৩ জুলাই রাতে নুর আলম মুন্সী নিজ বাড়িতে থাকালে পুনরায় সালিশের জন্য অসীম মোল্লা তাকে তার স্ত্রী সহ তাদের বাড়িতে যেতে বলে। নুর আলম মুন্সী ও তার স্ত্রী জিমি আক্তার তাদের কথায় সরল বিশ্বাসে অসীম মোল্যাদের বাড়িতে যায়। পরে তারা রাত সাড়ে ১১টার দিকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে পরিবারের লোকজন তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মুকসুদপুর হাসপাতেল আনার আগেই জিমি আক্তারের মৃত্যু হয় এবং তার স্বামী নুর আলম মুন্সী গুরুতর আহত থাকায় তাকে ফরিদপুর মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়।

মুকসুদপুর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নিলয় জানান, জিমি আক্তারকে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। নুর আলম মুন্সীর অবস্থার অবনতি দেকে সাধারণ চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে।

মুকসুদপুর থানার ওসি মো. আবু বকর মিয়া জানান, টাকা পয়সা লেনদেন নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো, লাভে ধান দেয়ার কথা বলে ২ লাখ টাকা নিছিলো, সেই টাকা যথাসময় পরিশোধ না করায়, সালিশের কথা বলে নুর আলম ও তার স্ত্রী জিমি আক্তারকে আসামীরা তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে মারধর করলে জিমি বেগম খুন হয়। নুর আলম আহত হলে তাকে ফরিদপুর মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে ২৫ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছে। ইতিমধ্যে ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..




© All rights reserved 2018 Banglarnayan
Design & Developed BY ThemesBazar.Com